বারুইপুর: ভােটের আবহে অবৈধ অস্ত্রকারখানা এবং বােমা ও আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা ঠেকাতে অভিযানে নেমে বড়সড় সাফল্য পেল বারুইপুর জেলা পুলিশ।
গােপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা এবং স্থানীয় থানা গুলির যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে একই দিনে নরেন্দ্রপুরে উদ্ধার হল ৪৮টি তাজা বােমা, এবং কুলতলির একটি বাড়িতে মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ।
কুলতলির ওই বেআইনি অস্ত্র কারখানার মালিক আসমত মণ্ডলকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কুলতলির মেরিগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি বাড়ির মধ্যে গােপনে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা চলছিল।
খবর সক্রিয় হয়ে ওঠে কুলতলি থানার পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ এবং কুলতলি থানার পুলিশ যৌথভাবে কুলতলির মেরিগঞ্জ এলাকার জেলেপাড়ায় আসমাত মণ্ডল এর বাড়িতে অভিযান চালায়।
বাড়ির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মধ্যে থেকেই গােপনে তৈরির কারখানা চালাত আসমাত। তাকেও হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ।
ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃত আসমার এই অস্ত্রগুলি কোথায় কোথায় বিক্রি করত, এই কারবারের সঙ্গে কারাকারা যুক্ত আছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, এদিন ভাের রাতে গােপন সূত্রে খবর পেয়ে স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ ও নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায় স্থানীয় খেয়াদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্তিপােতা এলাকায়। সেখানেই একটি মেছােভেড়ির পাশের ছােট্ট কুটির থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৪৮টি তাজা বােমা। ইতিমধ্যেই বােমাগুলি নিস্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছে বােম স্কোয়াড।
তবে কারা এই বােমাগুলাে এখানে রেখেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে উদ্ধার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং বােমাগুলি কি নির্বাচনের সময় কোনও রাজনৈতিক দল কাজে লাগানাের চেষ্টা করছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.