দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে রাজপথে অভিনব প্রতিবাদ কলেজের মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১

দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে রাজপথে অভিনব প্রতিবাদ কলেজের মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের।

কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত কয়েকশাে প্রার্থীর দ্রুত নিয়ােগের দাবিতে শুক্রবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে পদক ও ঘটি-বাটি বিক্রি করে অভিনব প্রতিবাদ করলেন ২০১৮ সালের কলেজ সার্ভিসের মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা।


২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলেজ গুলিতে ইউজিসি (UGC)-র নিয়ম মেনে সিবিএসসি (CBSC) পদ্ধতিতে পড়াশােনা শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতিতে কলেজ গুলিতে প্রতিটি বিভাগে চার থেকে ছয় জন অধ্যাপক প্রয়ােজন ছিল উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের জন্য।


অথচ পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ কলেজে এমন বহু বিভাগ রয়েছে যেখানে একজন স্থায়ী অধ্যাপকও নেই। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের ৪৫২ টি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে পূর্ণ সময়ের স্থায়ী অধ্যাপকের শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ৩০,০০০ বা ৬৫ শতাংশ।

অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইউজিসি (UGC)-র নিয়ম না মেনেই কলেজ গুলিতে বিপুল সংখ্যক এসএসিটি শিক্ষক নিয়ােগ করেছে অথচ যাবতীয় যােগ্যতার পরীক্ষা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া কয়েকশাে উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়ােগ না হওয়ার সদুত্তর সরকার দিতে ব্যর্থ।

ভূগােল বিষয়ে প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত প্রার্থী ডঃ প্রিয়াঙ্কা কুন্ডু বলেন, আজ আমরা অনেকেই আমাদের প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে যে সমস্ত মেডেল পেয়েছিলাম এবং আমাদের বাড়ির ঘটি-বাটি বিক্রি করে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়ে সরকার তথা সমাজকে আমাদের অসহায়তার ছবিটা বােঝাতে চেয়েছি।

আরোও পড়ুন: আর ডায়লগ নয়, এবার চাকরি চাই, শিক্ষা চাই: দিলীপ ঘােষ।

পাশাপাশি যােগ্যতার যাবতীয় পরীক্ষা দিয়েও মেধা তালিকাভুক্ত হয়ে নিয়ােগ না পাওয়ার ফলে শেষ সম্বল বিক্রি করে আমরা আমাদের পরিবারের সকলের মুখে অন্ন তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছি, এই বার্তাও দিতে চেয়েছি।

তাদের পক্ষ থেকে বিনয় কৃষ্ণ পাল বলেন, কলেজ সার্ভিস কমিশনে ভাল পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও প্রকৃত মেধাবী উচ্চতর যােগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের মেধা তালিকার পিছনের দিকে ঠেলে দিয়ে স্বজন পােষণ ও দুর্নীতিকে প্রসারিত করেছে।

ভােটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগুণ শিক্ষক নিয়ােগের প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের নিয়ােগ নিয়ে সরকার কিছু ভাবছেনা অথচ, ২০১৮-র মেধা তালিকাভুক্তদের নিয়ােগ না করেই, তাদের মেধা তালিকার বৈধতা শেষের আগেই ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, কলেজ সার্ভিস কমিশন নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

মেধা তালিকায় প্রার্থীদের অভিযােগ, যদি শূন্যপদ না থাকে তাহলে নতুন বিজ্ঞপ্তি আসে কা ভাবে? আর শূন্যপদ থাকলে মেধা তালিকায় প্রার্থীদের নিয়ােগ হচ্ছে না কেন? তাহলে সরকার কি ভােটের স্বার্থেই নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে?

আরেক প্রার্থী ডঃ ক্ষুদিরাম চক্রবর্তী বলেন, কলেজ সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি করে মেধা তালিকায় নাম না থাকা প্রার্থীদের নিয়ােগ দিয়েছে। মেধাতালিকায় নাম না থেকেও যদি নিয়ােগ হয়, তাহলে মেধাতালিকায় সকল প্রার্থীর নিয়ােগ হবে না কেন?

তারা মেধা তালিকাভুক্ত সমস্ত প্রার্থীর দ্রুত নিয়ােগের দাবি জানানাের পাশাপাশি কলেজ সার্ভিসের দুর্নীতির বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিও জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad