বাংলাদেশে জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত এক অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী কে সোশ্যাল মিডিয়াতে ইসলামী মৌলবাদীদের দ্বারা দুব্যবহার ও কুরুচিকর মন্তব্যের স্বীকার হতে হয়েছে।
ইসলামী মৌলবাদীরা যখনই জানতে পারে যে চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Choudhury) একজন হিন্দু, তখন তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয়।
এই অভিনেতা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি ‘দেবী’ 'আয়নাবাজি', ‘মনপুরা’ সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত অভিনেতা রবিবার (৯ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উপলক্ষে তার প্রোফাইল ফটো শেয়ার করেন। তিনি তার মায়ের সাথে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন এবং ক্যাপশন দিয়েছিলেন "মা"।
এই ছবিতে তাঁর মায়ের মাথায় সিঁদুর দেখে ইসলামী কট্টরপন্থীরা ক্ষুব্ধ হয়, সিঁদুর পরা হিন্দু ধর্মের রীতি যা হিন্দুদের মুসলমানদের থেকে আলাদা করে চেনায়।
আরোও পড়ুন: বাংলাদেশে ৪০০ বছরের পুরানো শ্মশান ও রাধা গোবিন্দ আশ্রমে আগুন লাগানো হল। মূর্তি ও রথ জ্বলে ছাই।
অনেক বাংলাদেশী মুসলমান হিন্দু নাম রাখে। অনেক মুসলিম পরিচয় জাহির করার জন্য হিন্দু নামের পরে 'মোহাম্মদ' যোগ করে। উদাহরণস্বরূপ, অভিনেতা চঞ্চলের নামের সাথে যুক্ত 'চৌধুরী' নামটি হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই ব্যবহার করে।
চৌধুরী শিরোনাম ব্রিটিশ আমলে জমিদারদের দেওয়া হতো। ফলস্বরূপ, অনেক মুসলমান মনে করে চঞ্চল চৌধুরী ইসলাম ধর্মের অনুসারী।
ইসলামী মৌলবাদীরা হিন্দু অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিজনক ভাষা ব্যবহার করে এবং তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বলে। কিছু মৌলবাদীরা অভিনেতার মায়ের উদ্দেশ্য অশ্লীল শব্দ প্রযোগ করে।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার্স আল সৌদি পিরাল লিখে, "এই ছবি না দেখলে হয়তো মৃত্যু পর্যন্ত ভাবতাম আপনি মুসলিম।"
এই বিবাদ সামনে আসার পর বাংলাদেশে কিছু লোক এই হিন্দু অভিনেতার সমর্থনে এগিয়ে আসে। তারা এই সকল উগ্র ধর্মান্ধ লোকের দ্বারা চঞ্চল চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যল মিডিয়ায় করা দুর্ব্যবহার বন্ধ করার জন্য #stopcyberbullying এবং #hokprotibad এর মত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অভিনেতার পাশে দাঁড়ায়।পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী লিখেন, "চঞ্চল চৌধুরী আমার ভাই, আমাদের ভাই।"
প্রধানমন্ত্রী মোদীর দু'দিনের বাংলাদেশ সফরের সময়, মুসলিমরা তার বিরোধিতা করার জন্য হিন্দু মন্দিরে হামলা করেছিল।
অনেক বাংলাদেশী মুসলমান হিন্দু নাম রাখে। অনেক মুসলিম পরিচয় জাহির করার জন্য হিন্দু নামের পরে 'মোহাম্মদ' যোগ করে। উদাহরণস্বরূপ, অভিনেতা চঞ্চলের নামের সাথে যুক্ত 'চৌধুরী' নামটি হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই ব্যবহার করে।
চৌধুরী শিরোনাম ব্রিটিশ আমলে জমিদারদের দেওয়া হতো। ফলস্বরূপ, অনেক মুসলমান মনে করে চঞ্চল চৌধুরী ইসলাম ধর্মের অনুসারী।
ইসলামী মৌলবাদীরা হিন্দু অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিজনক ভাষা ব্যবহার করে এবং তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বলে। কিছু মৌলবাদীরা অভিনেতার মায়ের উদ্দেশ্য অশ্লীল শব্দ প্রযোগ করে।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার্স আল সৌদি পিরাল লিখে, "এই ছবি না দেখলে হয়তো মৃত্যু পর্যন্ত ভাবতাম আপনি মুসলিম।"
আর একজন কট্টরপন্থী লিখে, "আপনি হিন্দু এটা জানার পরে আমি আপনার মতো অভিনেতার দিকে মনোযোগ দেব না। আগে আমি জানতাম না যে আপনি হিন্দু। "
এনতাজুল হক নামের আরেক ধর্মান্ধ বলে, “সকল মানুষ মুসলিম হিসাবে জন্মগ্রহন করে। কিন্তু পারিপার্শিক অবস্থা, আর বাপ দাদার বংশ সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে যখন মুর্তিপূজা শুরু করে দেয় তখন সে হিন্দু হিসাবে আত্নপ্রকাশ করে। ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম। বাকী সব গুলা এখন মিথ্যা, যার অস্থিত্ব বয়ে বেরানাে এখন বােকামি ছাড়া আর কিছুই না।"
চঞ্চল চৌধুরী হিন্দু হওয়ার তার ওপর হওয়া দুর্ব্যবহারে তিনি বলেন, "প্রথমে মানুষ হোন" প্রচুর আপত্তিজনক মন্তব্যের পরে (যার মধ্যে অনেকগুলি ডিলিট করা হয়েছিল), বাংলাদেশী অভিনেতা লিখেছেন, ভ্রাতা ও ভগ্নিগন, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম, তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসকল রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সকল ক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই'।
অভিনেতা সোমবার ফেসবুকে 'ধর্ম' নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন। এই কবিতার একটি অংশে তিনি লিখেছেন, "ধর্মকে 'বাঁচানোর অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? আপনি ধর্মের প্রচার কেন করেন? প্রতিটি ধর্ম মানবতার সেবার কথা বলে। আপনি কি নিজের ধর্ম প্রচার করে নিজেকে উন্নত মনে করেন? "
এই বিবাদ সামনে আসার পর বাংলাদেশে কিছু লোক এই হিন্দু অভিনেতার সমর্থনে এগিয়ে আসে। তারা এই সকল উগ্র ধর্মান্ধ লোকের দ্বারা চঞ্চল চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যল মিডিয়ায় করা দুর্ব্যবহার বন্ধ করার জন্য #stopcyberbullying এবং #hokprotibad এর মত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অভিনেতার পাশে দাঁড়ায়।পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী লিখেন, "চঞ্চল চৌধুরী আমার ভাই, আমাদের ভাই।"
বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিদ্বেষ:
প্রধানমন্ত্রী মোদীর দু'দিনের বাংলাদেশ সফরের সময়, মুসলিমরা তার বিরোধিতা করার জন্য হিন্দু মন্দিরে হামলা করেছিল।
আরোও পড়ুন: বাংলাদেশে মন্দিরে হামলা, মা কালীর মূর্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে বাংলাদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয় এবং পুলিশ কর্তৃক আইন শৃঙ্খলা রক্ষার করার প্রচেষ্টার সময় কিছু বিক্ষোভকারী মারা যায়।
একই সময়ে, বাংলাদেশের মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলায় অজ্ঞাত পরিচয় কিছু দুর্বৃত্ত ৪০০ বছরের পুরোনো পারুয়ারকুল অষ্টগ্রাম মহা শ্মশান ও রাধা- গোবিন্দ আশ্রমের তিনটি কক্ষ পুড়িয়ে দেয়। এই আগুনে, এই তিনটি কক্ষে রাখা রথ এবং প্রতিমা গুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে বাংলাদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয় এবং পুলিশ কর্তৃক আইন শৃঙ্খলা রক্ষার করার প্রচেষ্টার সময় কিছু বিক্ষোভকারী মারা যায়।
একই সময়ে, বাংলাদেশের মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলায় অজ্ঞাত পরিচয় কিছু দুর্বৃত্ত ৪০০ বছরের পুরোনো পারুয়ারকুল অষ্টগ্রাম মহা শ্মশান ও রাধা- গোবিন্দ আশ্রমের তিনটি কক্ষ পুড়িয়ে দেয়। এই আগুনে, এই তিনটি কক্ষে রাখা রথ এবং প্রতিমা গুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.