মেদিনীপুর: পুনর্গণনার আশা ছাড়ছেনা রাজ্য বিজেপি।দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ (Dilip Ghosh) মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে এখনও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ দিন দলের পর্যালােচনা বৈঠকে যােগ দিতে মেদিনীপুরে আসেন স্থানীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পরে পুনর্গণনা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুনর্গণনার কিছু পদ্ধতি থাকে। কোর্টের কিছু ব্যবস্থা থাকে। সেটার চিন্তাভাবনা চলছে। এ ব্যাপারে কোর্টে আবেদন করা যেতে পারে।”
তাঁর কথায়, “চিন্তাভাবনা চলছে। কতটা কী সম্ভব দেখা যাক।” বিজেপি কর্মীদের দাবি, বহু কেন্দ্রে ভােট গণনায় কারচুপি হয়েছে না হলে দলের এই বিপর্যয় হত না।
বিজেপি সূত্র জানা গেছে, বিজেপির আইটি সেল নির্বাচন কমিশন থেকে এই অল্প ব্যবধানে হারা আসন গুলোর তালিকা সংগ্রহ করেছে।
তমলুক বিধানসভা আসনে বিজেপি তৃণমূলের কাছে মাত্র ৭৯৩ ভোটে পরাজিত হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী সৌমেন কুমার মহাপাত্র মোট ভোট পেয়েছে এক লাখ আট হাজার ২৪৩ ভোট। অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী হরেকৃষ্ণ বেরার মোট প্রাপ্ত ভোট এক লাখ সাত হাজার ৪৫০ ভোট।
অপরদিকে দাঁতন বিধানসভায় বিজেপি (BJP) হেরেছে মাত্র ৬২৩ ভোটে। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী বঙ্কিমচন্দ্রের প্রাপ্ত ভোট ৯৫ হাজার ২০৯ ভোট এবং বিজেপি প্রার্থী শক্তিপদ নায়েকের প্রাপ্ত ভোট ৯৪ হাজার ৫৮৬ ভোট।
তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি (Sovandeb Chatterjee) জানান পুনর্গণনা চেয়ে কোর্টে যাবে বিজেপি “মমতা ব্যানার্জি কমিশনের কাছে রি- কাউন্টিং চেয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন অনুমতি দেয়নি। তাই মমতা ব্যানার্জি কোর্টে যাবেন। ওদের ক্ষেত্রে কী করবে এখন কমিশন? ওদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস হবে বলে আমার বিশ্বাস।”
তার ব্যাখ্যা, দু' হাজারে হেরেছে বলেই রিকাউন্টিং হয় না। গণনায় বেনিয়মের অভিযােগ থাকতে হবে। যেটা মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) ভোট প্রক্রিয়াই শেষ হয়ে গিয়েছে। বিধায়কদের শপথ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই পুনর্গনণার দাবি অযৌক্তিক বলেই মনে করেন তিনি।
কেন আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, এক হাজারের নিচে ৯২ টি এমন আসন রয়েছে যেখানে বিজেপি প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। গণনার সময় আসন গুলিতে কারচুপি করে তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রেই দলের কাউন্টিং এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই আসন গুলিতে গণনার সময় কারচুপি হয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব।
দলের একাংশের ব্যাখ্যা, প্রচার চলাকালীন মানুষের এত সমর্থন। মিটিং মিছিলে জনতার ঢল। কিন্তু ভােট কেন এল না এটা দেখার দরকার আছে। তা খতিয়ে দেখতে বসেই বেশ কিছু অস্বাভাবিক বিষয় নজরে এসেছে। তাই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.