হুগলি: ভােট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত হুগলিতে। এবার তৃণমূলের গােষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেড়ে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির বাঁশবেড়িয়া (Bansberia) এলাকায়।
অভিযােগ তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানাের অভিযােগ উঠল অপর এক গােষ্ঠীর বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ আহত তৃণমূল নেতা ও বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়ােগী (Aditya Niyogi)। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই আহত তৃণমূল নেতার অনুগামীরা উত্তেজিত হয়ে এলাকায় ভাঙচুর চালায়।
স্থানীয় মানুষের দাবি এদিন বাজারে গিয়েছিলেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা আদিত্য নিয়ােগী। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে আদিত্যবাবু। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের গােষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বহুবার মারপিটের ঘটনা ঘটলেও গােষ্ঠীদ্বন্দ্বের মেটেনি। এবার গুলি চালানাের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। তৃণমূলের উচ্চ জেলা নেতৃত্বের উচিত কড়া হাতে গােষ্ঠী দ্বন্দ্ব মেটানাে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই গুলি চালানাের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হােক। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হােক। এই বিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, আহত তৃণমূল নেতার চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে এখন দেখার এলাকায় হিংসা বন্ধ করতে শাসক দল তৃণমূল কতটা দায়িত্ব নেয় এবং প্রশাসন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.