নয়াদিল্লি : নারদা-কাণ্ডে বাকিদের ছাড় কেন?
সােমবার এই মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের গ্রেফতারির পর বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রশ্ন উঠেছিল।
এমনকী, ম্যাথু স্যামুয়েলও এই প্রশ্নই করেছিলেন সিবিআই (CBI) কে। মঙ্গলবার তার ব্যাখা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের দাবি, এমন দু’জন আছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও তথ্য প্রমাণ তারা হাতে পায়নি। তবে এই তদন্তে বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দু’বছর আগেই লােকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা (Om Birla)-র কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
এদিন এক বিবৃতিতে সিবিআই দাবি করেছে, নারদা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে বাকিদের জেরা করার অনুমতি চেয়ে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল লােকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়া হয়। যার উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে, রাজ্যে চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতারেই এই তদন্তের যবনিকা টানা হবে এমনটা ভাবা ভুল বলে দাবি সিবিআইয়ের।
বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কী ভাবে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে ও এক বিধায়ককে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে সােমবারই প্রশ্ন তােলে তৃণমূল।
সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ব্যাপারে রাজ্যপালের অনুমতিকেই তারা মান্যতা দিচ্ছে। তাদের ব্যাখা অনুমতির তারিখ অনুযায়ী তখনও রাজ্যে নতুন সরকার গঠন হয়নি। ফলে, তখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রধান রাজ্যপালই। তাই চার হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজ্যপালের অনুমতিই যথেষ্ট বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.