ব্যারাকপুর: কামারহাটি মদন মিত্রের এলাকা হিসেবেই পরিচিত।
বেলঘড়িয়া থানার কামারহাটি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আনােয়ার বাগানে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর তাজা কৌটো বােমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার রাতে পুলিশ এসে বােমাগুলি উদ্ধার করে নিস্ক্রিয় করে দেয়। বােমাগুলাে ওখানে কেন মজুত রাখা হয়েছিল তার তদন্ত করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আবাসন মালিক নূর মহম্মদ এর কাছ থেকে বিদায়ী কাউন্সিলর কালাম উদ্দিন আনসারির ছেলে চন্দন আনসারি একতলার এক কোনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল।
বিহারের বাসিন্দা গ্যারেজ কর্মী সৌফিক আলম ওই ফ্ল্যাটে থাকতাে।কিন্তু তিন মাসের জন্য সৌফিক বিহারে গিয়েছিলেন। শনিবার বিকেলে বিহার থেকে ফিরে এসে দেখেন,তার ফ্ল্যাটের তালা বদলে গিয়েছে। তারপর তিনি আবাসন মালিকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে তালা খুলতেই তিনি রীতিমতো হতবাক হয়ে যান।
ওই গ্যারেজ কর্মী দেখেন গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে দুটি ব্যাগ এবং একটি বালতি ভর্তি তাজা কৌটো বােমা।তৎক্ষণাৎ তিনি ঘটনাটি আবাসন মালিককে জানান। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে এসে বােমা গুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু মাষ্টার জানান, ইদানিং ওই এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে রাখা বােমাগুলাে ফেটে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত। এমনকি ওই আবাসনটি উড়েও যেতে পারতো বিস্ফোরনে। প্রশাসনের উচিৎ দুষ্কৃতী দৌরাত্ম দমনে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।
আরেক বাসিন্দা তসলিম হায়দার জানান, তিন মাস ধরে ওই ফ্ল্যাটটি বন্ধ ছিল। ওই ফ্ল্যাটের তালা পাল্টে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই ফ্ল্যাটে যিনি থাকতেন, শনিবার বিহার থেকে ফিরে এসে আবাসন মালিকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ঘর খুলতেই দেখেন প্রচুর বােমা মজুত রয়েছে।
তসলিমের দাবি, ওখানে কমপক্ষে ৫০টি তাজা কেটি বােমা মজুত ছিল। বােমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা। যদিও ঘটনা চাউর হবার পর থেকেই বেপাত্তা কাউন্সিলরের ছেলে চন্দন আনসারি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.