ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত, যাদবপুরে আক্রান্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল। NCM অধ্যক্ষ প্রকাশ করল বাংলার বাস্তব চিত্র। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১

ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত, যাদবপুরে আক্রান্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল। NCM অধ্যক্ষ প্রকাশ করল বাংলার বাস্তব চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের ফলাফলের পরে, ভোট পরবর্তী হিংসার বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে হওয়া হিংসা এখনও থামেনি।

nhrc team attacked in jadavpur, atif rashhed

এই সময় সেখানে এই জাতীয় ঘটনা তদন্ত করতে যারা যাচ্ছেন তাদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। কলকাতা হাইকোর্টের আদেশের পরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC) এই ঘটনাগুলি তদন্তের জন্য একটি দল গঠন করেছিল। পশ্চিমবঙ্গে এই টিমের সদস্য আতিফ রশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।


আতিফ রশিদ (Atif Rasheed) বলেছেন, “ আমি NHRC-র তদন্ত দলের সদস্য হিসেবে যাদবপুরে দাঙ্গা প্রভাবিত এলাকা দেখার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে টিএমসির গুন্ডারা আমার সাথে অশালীন আচরণ করে। আমি সেখানে ৪০ টিরও বেশি বাড়িঘর ভাঙ্গা দেখতে পায় এবং সেগুলির ভিডিও রেকর্ডিংস করে রাখি, এর পরে এই লোক গুলি আমাকেও প্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকে। যখন আমার সাথে এই ঘটনাটি ঘটছিল, তখন স্থানীয় পুলিশ চুপচাপ সেখান থেকে চলে যায়, যাতে তারা আমার সাথে প্রকাশ্যে দুর্ব্যবহার করতে পারে।"

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে তাঁর সাথে যারা দুর্ব্যবহার করেছে তারা সকলে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) লোক এবং তারাই এই বাড়িগুলি ভেঙে জ্বালিয়ে দিয়েছে।

তিনি দেখেছিলেন যে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সাথে যুক্ত আতিফ রশিদ জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের (NMC) ভাইস চেয়ারম্যান। এর পাশাপাশি তিনি DU এর সত্যবতী কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন।

তিনি বলেন ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র তদন্তকারী দলকে ঘিরে ফেলা হয় এবং গুন্ডারা পাথর ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করে। এই টিমে NHRC-র রাজীব জৈনের সভাপতিত্বে এই টিম পশ্চিমবঙ্গে ৩ দিনের সফরে গিয়েছিল। এই দলে জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) সদস্যও ছিল।

জুন মাসের ১৮ তারিখ হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গে চলমান মানবাধি -কার লঙ্ঘন তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে বলেছিল। স্থানীয় গুন্ডারা কীভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছে তার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামনে এসেছে।

আতিফ রশিদকে যারা হুমকি দিয়েছিল তাদের মধ্যে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও ছিল। ভিডিওতে আতিফ রশিদ বারবার তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে তারা এ জাতীয় আচরণ করতে পারে না এবং তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়া উচিত। একই সময়ে, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি ভিড় থেকে সরে এসে ক্যামেরার সামনে নিজের বক্তব্য রাখছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, যখন স্থানীয়রা তাঁর উপর হামলা করে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়। তিনি বলেন এই ভিডিওটি কলকাতা হাইকোর্টে প্রমাণ হিসাবে কাজ করা উচিত, যা দেখায় যে কীভাবে বাংলায় সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে।

তিনি বলেন তাকে সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় গিয়ে সেখান- কার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল। তিনি বলেন যাদবপুরে কেবলমাত্র ৪০ টি ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে ভেঙে ফেলা ফেলা হয়েছে তা নয়, বহু বিজেপি কর্মীর ২ মাস ধরে কোনও খোঁজ নেই।

তিনি স্পষ্ট বলেন এই বাড়ি গুলি বিজেপি কর্মীদের এবং এগুলির এই পরিণতি TMC-র গুন্ডারা করেছে। তিনি বলেন অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও FIR নেয়নি।

তদন্ত চলাকালীন লোকেরা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং তাকে হুমকি দেওয়া শুরু করে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি ভিডিও বানাচ্ছিলেন তাই স্থানীয় লোকেরা তাদের ওপর চড়াও হয়।

২ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর হত্যার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে হিন্দু সমাজকে এর ফল ভুগতে হয়েছে। টিএমসির গুন্ডাদের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করার সাথে সাথে মহিলাদের যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad