দিল্লি: করােনা পরিস্থিতি নিয়ে নাজেহাল দেশবাসী। ঠিক সেই সময় কাশ্মীর নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে বাগযুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই।
কাশ্মীরের ভােট করানাের জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিজেপি ও কংগ্রেস কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলােপ নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে এবং এই তরজায় উঠে এসেছে পাকিস্তানের নাম। কংগ্রেস যা বলছে, তা আসলে বলতে চাইছে পাকিস্তান, এমনটাই বলছে বিজেপি।
যদিও কংগ্রেসের দাবি, উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রথম থেকেই কংগ্রেস এর বিরােধিতা করে আসছে। বিজেপির চাল হল এর সঙ্গে পাকিস্তানের নাম ঢুকিয়ে ব্যবহার করা।
একটি অনলাইন আলোচনা সভাকে ঘিরে এই বিতর্কের শুরু। সেই আলােচনা সভায় অংশ নেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh)।
@digvijaya_28 telling Pakistani that Congress would reconsider decision of revoking Article 370 once they are in power. #Part2 #ClubHouse pic.twitter.com/7VMT7vL0up
— ClubHouse Leaks (@LeaksClubhouse) June 11, 2021
ক্লাবহাউস চ্যাটে একটি অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়ে উঠছে। এতে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের সিদ্ধান্তের বিষয়ে একজন পাকিস্তানি সাংবাদিকের সাথে কথা বলছেন। সেই আলােচনায় সংবিধানের কাশ্মীরে জন্য ৩৭০ ধারা বিলােপ নিয়ে মতামত জানতে চান এক পাকিস্তানি সাংবাদিক।
তখন দিগ্বিজয় বলেন, কংগ্রেস যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে, তাহলে উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বিলােপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।
এই অডিও টেপটি ভাইরাল করে বিজেপির আইটি সেল। আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) এই অডিও রেকর্ডিংটি নেট মাধ্যমে তুলে ধরেন। যদিও সংবাদ মাধ্যম এই অডিও টেপটির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে এই অডিও টেপটি হাতে পাওয়ার পর কংগ্রেসকে তুলােধনা করতে ছাড়েনি বিজেপির নেতারা।
মালব্য নিজে টুইটারে লেখেন, রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) -র ঘনিষ্ঠ সহযােগী দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ৩৭০ ধারা বিলােপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন তারা। তাই নাকি? আসলে এটাই তাে পাকিস্তান চায়।
সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) যিনি বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র, তিনি বলেন ভারতের বিরুদ্ধে দিগ্বিজয় সিং বিষ ছড়াচ্ছেন।
বিমান পরিবহণমন্ত্রী দীপ সিং পুরীও দিগ্বিজয়ের বিরুদ্ধে সােচ্চার হন। যদিও কংগ্রেসের এই অন্যতম শীর্ষ নেতা বলেন, অযথা তার মন্তব্য নিয়ে বিজেপি বিতর্ক তৈরি করছে।
তবে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা দিগ্বিজয় সিংয়ের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনাকে ধন্যবাদ। বিজেপিরও উচিত বিষয়টি ভেবে দেখার। কারণ অটলবিহারী বাজপেয়ী কাশ্মীরকে গণতন্ত্র এবং মানবিকতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু নরেন্দ্র মােদি ২০১৯ সালে যা করলেন, তা গণতন্ত্রের মধ্যে পড়ে না। আমরা পাকিস্তানি নই। ভারতেরই একটি দল আমরা। দয়া করে আমাদের পাকিস্তানি বলনে না।
স্বাভাকিভাবে দিগ্বিজয় সিংয়ের মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে এখন বাগযুদ্ধ চরমে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.