রাজ্যের নবনির্বাচিত তৃণমূল সরকার এবং শাসক দলের নির্বাচনী কৌশলী PK-র কোম্পানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযােগ আনলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)।
তাঁর স্পষ্ট অভিযােগ, ‘গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) ফুটেজ দেখলেই প্রমাণিত হবে গণনা চলাকালীন সরকারি কর্মী সেজে যাঁরা রেজাল্ট বলছিলেন, তাঁরা আইপ্যাক কোম্পানির সৈন্যরা ছিলেন।
আইপ্যাক প্রধান গণনা কেন্দ্রে থাকা আধিকারিকদেরই ম্যানেজ করেছিলেন। তাই তিনি এতটাই নিশ্চিত ভাবে বলতে পেরেছিলেন ১০০ সংখ্যা পার করতে পারবে না বিজেপি এবং তৃণমূল পাবে ২০০-র বেশি আসন।
নির্বাচনী ফলাফল বেরোনাের পর ৪৫ দিনের মধ্যে পুনর্গণনা চাওয়ার নিয়ম রয়েছে। হাইকোর্টে পুনর্গণনার আবেদন এতাে দেরিতে কেন, এই প্রশ্ন করা হলে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, গণনার দিনেই আমি পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছিলাম। তাঁর পরপরই কার্যত লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় দেরি হল এবং বিজেপি দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলাম। নির্দেশ পাওয়ার পরই ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা হয় হাইকোর্টে মঙ্গলবার।
BJP leader Jitendra Tiwari (File photo) files PIL in Calcutta High Court over the result of Pandabeswar Assembly seat where he was defeated by TMC candidate Narendranth Chakraborty.
— ANI (@ANI) June 29, 2021
Matter likely to be heard next week. pic.twitter.com/Ytzwlf7PCg
উল্লেখ্য,২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৩ হাজারের কিছু বেশি ভােটে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ২১ রাউন্ড গণনায় ১৮ রাউন্ড পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী।
শেষ ৩ রাউন্ডে এগিয়ে যান তৃণমূল প্রার্থী এবং শেষমেশ বিজয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এরপরই জিতেন্দ্র তিওয়ারি গণনা কেন্দ্রেই পুনর্গণনা চান সেই সময়ে, পরে তিনি মিডিয়ার সামনে নিজের পরাজয়কে মেনে জনগণের আদেশকে মাথায় পেতে নেন বলে জানান।
এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ফলাফল বেরিয়ে যাওয়ার পর দলগত ভাবে হারের পর্যালােচনা করার পর কোনও অঙ্কে -ই মেলানাে যায়নি বিজেপির এ রাজ্যে হার। ৩৮.৬শতাংশ ভােট পাওয়ার পর এই হার মানা মুশকিল হচ্ছিল। কারণ, ৩৯ শতাংশ ভােট পেয়ে রাজ্যের শাসক দল হিসেবে একসময়ে ছিলেন বামফ্রন্ট।
এবারের নির্বাচনে রাজ্যের বেশ কিছু আসন রয়েছে, যা বামেদের দখলে থাকে। সেই আসনগুলিতে তাদের ভােটের
শতাংশ অবাক করেছে রাজনৈতিক মহলকে। তারা রাজ্যে শূন্য! শুধু বাম কেন, কংগ্রেসের যেখানে নিশ্চিত আসন সেখানে শূন্য হয়েছে কংগ্রেস।এই বিষয়গুলি ভাবতে বাধ্য করে।
গণনা কেন্দ্রের আধিকারিকদের ম্যানেজ করে নিজেদের
সৈন্যগুলিকে সরকারি আইকার্ড দিয়ে আইপ্যাক গােটা বিষয় -টি পরিচালনা করেছে। তাই পুনর্গণনার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
জিতেন্দ্র বলেন, রানিগঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী নিজেও জানতেন তিনি হারবেন।সেই কেন্দ্রেও একই ভাবে ৩ হাজারের কিছু বেশি ভােটে তিনি জয়ী হয়েছেন। ৬৫-৭০ টি আসনে পুনর্গণনা হলে ফলাফল বদলে যেতে পারে রাজ্যে।
অন্য দিকে, ৪৫ দিন পার হয়ে যাওয়ায় উচ্চ আদালত পুনর্গণনার আবেদন গ্রহণ করবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তবে বেশকিছু আইনজীবীদের মতে, লকডাউন থাকায় এক্ষেত্রে সুবিধে পেতে পারেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.