মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযােগ তুলে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১

মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযােগ তুলে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।

মালদা: মিড ডে মিল (Mid day meal) এ কারচুপির অভিযােগ তুলে চিন্তামণি চমৎকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা।

mid day meal corruption, malda

এই ঘটনায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মদত রয়েছে বলে অভিযােগ তুলেছেন বিক্ষোভকারী অভিভাবকেরা। বৃহস্পতি- বার সকাল থেকেই ওই স্কুলে বিক্ষোভের জেরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে স্কুল কমিটির কর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


কী কারণে মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী কম দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও বিক্ষোভকারী অভিভাবকেরা কৈফিয়ত তলব করেন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপন দেবনাথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারিভাবে তাদের যতটুকু মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে, সেই ভাবেই বিলি করা হচ্ছে। এখানে মিড ডে মিলের কারচুপি
নিয়ে যে অভিযােগ তােলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এদিন সকালে কয়েকশাে ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকেরা চিন্তামণি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে-মিল নিতে আসেন। আর সেখানেই চাল থেকে চিনি, সােয়াবিন থেকে ডাল সবই ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযােগ তােলেন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা।

এমনকী, মিড ডে মিলের পাওয়া খাদ্যসামগ্রী অনেকেই সংগ্রহ করার পর আশেপাশে দোকানে গিয়ে সেগুলাে ওজন করান। কিন্তু সরকারি ভাবে যে পরিমাণ মিড ডে মিল দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে, তার থেকে অনেক কম এই খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে বলেও অভিভাবকেরা অভিযােগ তুলেছেন।

তাঁদের বক্তব্য, আমরা দোকানে ওজন করে দেখেছি।প্রতিটি সামগ্রীতে ওজনে কম দেওয়া হয়েছে। এই কারচুপির বিষয়ে অভিযােগ তুলে এদিন বিক্ষোভ দেখানাে হয়েছে।

এদিন বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক সাবিত্রী দাস, শুক্লা সাহাদের বক্তব্য, চিনি হাফ কিলাে জায়গায় দেওয়া হচ্ছে ১৮০ গ্রাম, ৫০ গ্রাম সােয়াবিন পেয়েছি। হাফ কিলাে আলু পেয়েছি। ওজনে কারচুপি করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই যখন মিড-ডে-মিল দেওয়া হচ্ছে, তখন থেকেই এভাবেই কারচুপি করা হচ্ছে।

বিষয়টি জানার পরই এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যান্য অভিভাবকেরা। আমাদের দাবি,সরকার মিড ডে মিলের যেভাবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সেভাবেই কোনও রকম গাফিলতি না করেই বিলি করা হােক।

এদিকে মিড ডে মিল বিলি করা ওই স্কুলের এক মহিলা কর্মী বলেন, আমরা কোনাে বেতন পাচ্ছি না। করােনা পরিস্থিতির মধ্যে সংকটজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। তার উপর বিনামূল্যে আমাদেরকে এই কাজ করতে হচ্ছে।এখন কেন মিড ডে মিলের কম দেওয়া হল, সেটা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। যেভাবে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেভাবে মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে।

চিন্তামণি চমৎকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্দীপন দেবনাথ জানিয়েছেন, কিছু অভিভাবকেরা যে অভিযােগ তুলেছে তা সঠিক নয়। সরকারের থেকে মিড-ডে-মিল যেভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে সে ভাবে আমরা বিলির ব্যবস্থা করেছি।

ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে-মিল কেন কেউ কারচুপি করে কম দিতে যাবে। যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাদেরকে কেউ ভুল বুঝাচ্ছে এবং বিভ্রান্ত করছে। যদি কোথাও কোনাে রকম মিড ডে মিলে কম ওজন কম কেউ পেয়ে থাকে, সে ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।

ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যান্য অভিভাবকেরা। আমাদের দাবি, সরকার মিড ডে মিলের যেভাবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সেভাবেই
কোনও রকম গাফিলতি না করেই বিলি করা হােক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad