খড়গপুর: তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)-এ যােগ না দিলে ধর্ষণ করে খুন করা হবে বলে হুমকি দিয়ে লিফলেট প্রকাশ করল শাসকদল তৃণমূল।
খড়গপুর ১ নং ব্লকের বড়কোলা অঞ্চলে। বিজেপি থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য গােলাপ রায় দেহরীকে, রবিবার রাতে এই মর্মে লিফলেট বিলিকে কেন্দ্র করে এলাকার উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের দাবী এই ধরনের লিফলেট ছড়ানাের সঙ্গে তাদের কোনও যােগ নেই।
খড়গপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে। ২২ জন পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩ জন বিজেপির, ৮ জন তৃণমুলের। এর মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই তৃনমূল বড়কোলা অঞ্চল দখল করার চেষ্টা শুরু করে।
কয়েকদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের মহিষদা এলাকায় তৃনমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের ফতোয়া জারির অভিযোগ ওঠে। তাতে ১৮ জন বিজেপি কর্মীর নাম উল্লেখ করে দোকানিদের তাদের কোনও কিছু বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। এমনকী তাঁদের চাও বিক্রি করা যাবে না বলে জানানো হয়।
আরোও পড়ুন: BJP-র ১৮ জন কার্যকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করল তৃনমূল। দোকানদারদের তাদের পণ্য বিক্রি করতে নিষেধ করল।
হিজারপুরের বিজেপি থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য গােলাপ রায় দেহরী বলেন,তৃণমূলে যােগ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে তিনজন তৃণমূল নেতা আমার বাড়ি এসেছিলেন। তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বও আমাকে একই কথা বলার জন্য ফোনও করেছিলেন। কিন্তু ওদের প্রস্তাবে আমি রাজি হইনি।
এরপরই রবিবার রাতে লিফলেট ছড়িয়ে গােলাপ রায় দেহরী- কে ধর্ষণ করে খুন করার হুমকি দেয়। পাশাপাশি এলাকার আরও অনেক মহিলার নাম করে তাদেরও ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে খুনের হুমকি- ও দেওয়া হয়েছে।
লিফলেটে বলা হয়েছে ১০১, ১০২ ও ১০৩ নং বুথের তৃণমূল অঙ্গীকার করা হচ্ছে এই পরিবার গুলিকে সামাজিক বয়কট করা হবে।এই লিফলেটের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, ‘এলাকা শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, যে কোনও সময় শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বড়কোলা অঞ্চল সভাপতি অজিত দাস মহাপাত্র বলেন, এই লিফলেট বিলির সঙ্গে তৃণমূলের
কোনও যােগ নেই। বিজেপিই এটা করেছে। আমাদের দাবি, দোষীদের খুঁজে বের করা হােক এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা
নেওয়া হােক।'
বিজেপির খড়গপুর গ্রামীণ উত্তর মণ্ডলের সভাপতি বুদ্ধ
পলমল বলেন,বিরােধী দল বলতে এখন আমরা সিপিএম কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। তাই বিজেপিকে টার্গেট করা হচ্ছে।
বিধানসভা ভােটের ফল বেরােনোর পর থেকেই এই অত্যাচার শুরু হয়েছে। আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমরা থানায় অভিযােগ জানিয়েছি। এসডিপিও (SDPO) বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
খড়গপুর ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি অমর চক্রবর্তী বলেন, “আমরাও পুলিশকে বলেছি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।
আমাদের দল এই কাজে যুক্ত নয়।
হিজারপুরের বিজেপি থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য গােলাপ রায় দেহরী বলেন,তৃণমূলে যােগ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে তিনজন তৃণমূল নেতা আমার বাড়ি এসেছিলেন। তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বও আমাকে একই কথা বলার জন্য ফোনও করেছিলেন। কিন্তু ওদের প্রস্তাবে আমি রাজি হইনি।
এরপরই রবিবার রাতে লিফলেট ছড়িয়ে গােলাপ রায় দেহরী- কে ধর্ষণ করে খুন করার হুমকি দেয়। পাশাপাশি এলাকার আরও অনেক মহিলার নাম করে তাদেরও ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে খুনের হুমকি- ও দেওয়া হয়েছে।
লিফলেটে বলা হয়েছে ১০১, ১০২ ও ১০৩ নং বুথের তৃণমূল অঙ্গীকার করা হচ্ছে এই পরিবার গুলিকে সামাজিক বয়কট করা হবে।এই লিফলেটের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, ‘এলাকা শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, যে কোনও সময় শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বড়কোলা অঞ্চল সভাপতি অজিত দাস মহাপাত্র বলেন, এই লিফলেট বিলির সঙ্গে তৃণমূলের
কোনও যােগ নেই। বিজেপিই এটা করেছে। আমাদের দাবি, দোষীদের খুঁজে বের করা হােক এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা
নেওয়া হােক।'
বিজেপির খড়গপুর গ্রামীণ উত্তর মণ্ডলের সভাপতি বুদ্ধ
পলমল বলেন,বিরােধী দল বলতে এখন আমরা সিপিএম কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। তাই বিজেপিকে টার্গেট করা হচ্ছে।
বিধানসভা ভােটের ফল বেরােনোর পর থেকেই এই অত্যাচার শুরু হয়েছে। আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমরা থানায় অভিযােগ জানিয়েছি। এসডিপিও (SDPO) বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
খড়গপুর ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি অমর চক্রবর্তী বলেন, “আমরাও পুলিশকে বলেছি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।
আমাদের দল এই কাজে যুক্ত নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.