পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি নতুন খবর বেরিয়ে আসছে।
বিজেপি অভিযোগ করেছে যে বাংলার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কয়েকজন বিজেপি কর্মীর তালিকা প্রকাশ করেছে এবং বাংলার দোকানদারদের এই বিজেপি কর্মীদের কাছে কোনও জিনিস, এমনকি চাও বিক্রি না করার আদেশ দিয়েছে। যদি কোন জিনিস বিক্রি করতে হয় তবে TMC-র কাছে অনুমতি নিয়ে করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চা সভাপতি কেয়া ঘোষ শনিবার (৫ জুন) টুইট করে এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন এই সমস্ত মানুষের মধ্যে বিভেদের একমাত্র কারণ হল তারা সকলেই বিজেপি কর্মী।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman) কেয়া ঘোষের টুইটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)-র উচিত পশ্চিমবঙ্গে সবার সাথে সমান আচরণ করার নিশ্চিত করা অন্যথায় এটি লজ্জাজনক।
বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত TMC-র এই কথিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের কালো তালিকা- ভুক্ত করা নতুন নয়। এইরকম করে কর্মীদের মনোবল এবং তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থকে টার্গেট করা হচ্ছে।
This is shocking. Would urge CM @MamataOfficial to see that ALL citizens in West Bengal are protected and not ostracised or denied the basics. Otherwise, a true shame. https://t.co/RnHYo6J6xN
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) June 5, 2021
বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত TMC-র এই কথিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের কালো তালিকা- ভুক্ত করা নতুন নয়। এইরকম করে কর্মীদের মনোবল এবং তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থকে টার্গেট করা হচ্ছে।
স্বপন দাশগুপ্ত মিডিয়ার নীরবতা এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, এগুলি ছাড়াও বিজেপি কর্মীদের করোনার ভ্যাকসিন নিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের এই প্রথম মতো টার্গেট করা হচ্ছে তা নয়। বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হিংসা শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এবং তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করার পর।
এমনকি এই হিংসায় বিজেপি নেতাকর্মীদের খুন করাও হয়েছিল। এছাড়াও রাজ্যে লুটপাট, ভাঙচুর ও মহিলাদের ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের ওপর এই সব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। নির্বাচনের পরে শুরু হওয়া হিংসার পরে বিপুল সংখ্যক বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা আসামে পলায়ন করতে শুরু করে।
এমনকি এই হিংসায় বিজেপি নেতাকর্মীদের খুন করাও হয়েছিল। এছাড়াও রাজ্যে লুটপাট, ভাঙচুর ও মহিলাদের ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের ওপর এই সব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। নির্বাচনের পরে শুরু হওয়া হিংসার পরে বিপুল সংখ্যক বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা আসামে পলায়ন করতে শুরু করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.