তিরুবনন্তপুরম: কেরালায় করোনার ভাইরাসের পরে এবার জিকা ভাইরাস (Zika Virus) এর সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কেরালায় জিকা সংক্রমণের ১০ টি নতুন ঘটনা সামনে এসেছে। সূত্র মারফত জানা গেছে পুণে স্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV) তে পরীক্ষার জন্য ১৩ টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১০ টির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'পরীক্ষার জন্য এনআইভি তে পাঠানো ১৯ জনের নমুনার মধ্যে আমরা ১৩ জনের পজিটিভ থাকার অনুমান করা হচ্ছে।' জিকা ভাইরাসে সংক্রমণের সমস্ত ঘটনা রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে পাওয়া গেছে।
জিকা ভাইরাসের উদ্ভব ফ্ল্যাভিভাইরিড ভাইরাস পরিবার থেকে। মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটি দিনের বেলায় বেশি সক্রিয় থাকে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় মহিলারা এতে বেশি সংক্রামিত হতে পারে।
জিকা ভাইরাস থেকে মাইক্রোসেফালি রোগ হয় যাতে আক্রান্ত শিশুটি আকারে ছোট এবং অনুন্নত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মায়। একই সাথে, এর ফলে সৃষ্ট গিলাইন-ব্যারে সিন্ড্রোম শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, যার কারণে মানুষ পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
এর লক্ষণগুলি কী কী?
জিকা ভাইরাসের লক্ষণগুলি ডেঙ্গু এবং ভাইরাসের মতোই যেমন জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া। যদিও এই ভাইরাসের আরএনএ (RNA) আলাদা ধরনের। জিকা ভাইরাস কেবল এডিস প্রজাতির মশার কামড়েই ছড়িয়ে পড়ে যা কেবল দিনের বেলাতেই কামড়ায়।
জিকা ভাইরাস থেকে বাচার উপায়:
জিকা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মশার কামড় থেকে বাঁচতে হবে। শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঢেকে রাখুন। মশারি ব্যবহার করুন, মশার প্রজনন রোখার জন্য জল জমতে দেবেন না, জ্বর, গলা ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, লাল চোখের লক্ষণ দেখা গেলে, বেশি করে তরল পদার্থ সেবন করুন এবং প্রচুর বিশ্রাম নিন । অবস্থার উন্নতি না হলে অবিলম্বে ডাক্তারকে দেখানো উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.