পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জয়ের পরে হিংসার বেশ কয়েকটি ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে।
সম্প্রতি ভারতীয় জনতা পার্টির বুথ কর্মী হিংসার শিকার সুনীল বক্সি জাতীয় তফসিলি উপজাতি (NCST) কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন যে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে কীভাবে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের গ্রাম আক্রমণ করে।
বক্সি অভিযোগে বলেন একদল মুসলিম তার বাড়িতে প্রবেশ করে, তার বাড়ির আসবাবপত্র ভেঙে দেয়, মহিলাদের হয়রানি করে এমনকি তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করারও হুমকি দেয়। অভিযোগ অনুসারে, তারা সবাই গ্রামের ১৫ টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
অভিযোগে আরোও বলা হয়েছে, বক্সি ঘটনার বিষয়ে পুলিশে যোগাযোগ করলে তাকে ভয় দেখানো হয় এবং হুমকি দেওয়া হয় যে অভিযোগ দায়ের করলে এর থেকে আরও খারাপ পরিণতি হবে। এমনকি পুলিশ তাঁর অভিযোগে তাকে লেখানোর চেষ্টা করে যে বজ্রপাতে তার বাড়িতে আগুন লেগে যায়।
কমিশন বক্সির অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা তাদের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে। কমিশনের চিঠিতে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে যে নির্বাচনের পরে হিংসায় ধর্মের ভিত্তিতে অত্যাচার হয়।
সুনীল বক্সি বলেন ২০২১ সালের ৩ মে তার উপর TMC গুন্ডা -রা হামলা করেছিল। সে সময় তার মাথায় আঘাত করা হয়, তবে তার ভাই তাকে বাঁচিয়ে নিয়েছিল। তিনি তার সাথে ঘটা প্রাণঘাতী হামলা সম্পর্কে অভিযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকার করে এবং পরিবর্তে তার ওপর ধারা ৩২৩, ৩২৬ এবং অন্যান্য ধারায় মামলা করা হয়।
বক্সি বলেন তার বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। তিনি কীভাবে তার মামলা লড়বেন সেটাও বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তিনি বলেন যে পুলিশ তার অভিযোগকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে না এবং তার মামলায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তিনি আনারুল শেখ, আমির হুসেন, হায়দার আলি, হাসিবুল মোল্লাসহ বেশ কয়েকজনকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন। NCST-তে দায়ের করা অভিযোগে শেখ ফয়জুল এবং শেখ ভিরালিও নামও রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.