সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যের ১১ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teachers Recruitment) সংক্রান্ত বিষয়ে মমতা ব্যানার্জি সরকারসহ সব পক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সুনীল পাল সহ ১১ জন শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের বিচার- পতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সৌগতা ভট্টাচার্যের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)-এ আবেদন করেছিলেন।
একজন আবেদনকারীর উকিল একরামুল বারী জানিয়েছেন এই মামলাটি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রাপ্ত নম্বর সম্পর্কিত। সুনীল পাল সহ ১১ জন শিক্ষক ২০০১-২০০২ এক বছরের প্রাথমিক শিক্ষক কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তারা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের অধীনে নিযুক্ত হন।
কি সেই মামলাটি?
অভিযোগ করা হয়েছে যে শিক্ষা পর্ষদ তাদের সেই কোর্সের জন্য প্রাপ্ত দিতে রাজি হয়নি। এই শিক্ষকরা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যোগাযোগ করেছিলেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে তারা চাকরিতে নিয়োগ করে, কিন্তু পরে জেলা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ওই ১১জনের নিয়োগ বাতিল করে দেন।
পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তি ছিল যে বীরভূম জেলার একটি ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, ২০১০ সালের আগে যারা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন, তারা এক বছরের শিক্ষাদান কোর্সের জন্য নম্বর পাবেন।
এই শিক্ষকরা এই নম্বরটি পাবে না কারণ তাদের মামলাটি ২০১০ সালের পরে করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে শিক্ষকরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। হাইকোর্ট থেকে তার পক্ষে রায় না আসায় তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সম্প্রতি ৩৪ হাজার প্রাথমিক ও উচ্চ-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন। এই মামলাটিও আইনি সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েব- সাইটে পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশের পরে ইন্টারভিউ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.