নয়াদিল্লি :সােমবার থেকে সারা দেশে চালু হল নতুন ডিজিটাল লেনদেন পদ্ধতি ই-রুপি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি (Narendra Modi) ভার্চুয়ালি এই ই-রুপি (e-RUPI) লেনদেন পদ্ধতি চালু করেছেন। জনকল্যাণ পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা চালু হলেও আপাতত তা টিকাকরণ কর্মসূচিকে জোরদার করতে ব্যবহৃত হবে।
শুধু সরকারই নয়, কোনও কোনও সংস্থা বা সংগঠন কারও চিকিৎসার জন্য, কারও লেখাপড়ার জন্য বা অন্য যেকোন কাজে সাহায্য করতে চাইলে নগদের বদলে সরাসরি ই-রুপি দিতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যে উদ্দেশে টাকা ব্যয় করতে চাইছেন, তা যাতে যথাযথ ব্যয় হয় ই-রুপি তাও নিশ্চিত করবে। প্রথমদিকে ই-রুপির ব্যবহার হবে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে।
মুম্বইয়ের একটি কোভিড টিকা কেন্দ্রে প্রথমবারের মতাে প্ল্যাটফর্মটি সরাসরি ব্যবহৃত হবে। এই ডিজিটাল লেনদেন সিস্টেম যৌথভাবে তৈরি করেছে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, ডিপার্টমেন্টাল অফ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ও ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি।
কি এই ই রুপি ?
এই ই-রুপি ভাউচার হল অনেকটা গিফট কার্ডের মতাে। নির্দিষ্ট অঙ্কের পরিবর্তে সেই মূল্যেরই একটি ভাউচার দেওয়া হবে। SMS বা কিউআর কোডে (QR code)-র মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে এই ভাউচার।
নগদহীন এবং কাউকে স্পর্শ না করেই এই ই- রুপি ভাউচার ডিজিটাল লেনদেনে জোয়ার আনবে বলেই মনে করছে নানা মহল। কারণ, সেটি কিউআর কোড বা এসএমএস-ভিত্তিক ই ভাউচার হিসেবে কাজ করবে। আগে থেকে টাকা দিলে যা পৌঁছে যাবে গ্রাহকের মােবাইলে। তারপর পরিষেবা প্রদানকারী ব্যক্তি বা সংস্থায় ভাউচারটি সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ই-রুপির সুবিধা ব্যাখ্যা করে লিখেছেন, “এটি ভবিষ্যতের লক্ষ্যে সংস্কার, যা ব্যবহারকারীদের অজস্র সুবিধা দেবে। প্রাথমিকভাবে এটি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। যারা বেসরকারি কেন্দ্রে অর্থ দিয়ে টিকা নেবেন, তারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। কেউ ১০০ গরিব মানুষকে সাহায্য করতে চান। তিনি তাদের ই ভাউটার কিনে দিতে পারেন। যত দিন
যাবে, আরও সুবিধা ও পরিষেবা এতে যুক্ত হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “লকডাউনের সময় প্রযুক্তির গুরুত্ব বুঝেছি। যখন বড় দেশগুলি চিন্তিত ছিল কীভাবে তারা দরিদ্রদের সাহায্য করবে, তখন ভারতে একটি পূর্ণাঙ্গ
ব্যবস্থা চালু ছিল। অন্যান্য দেশগুলিডাকঘর এবং ব্যাঙ্ক খুলতে বাধ্য করছিল। একই সময়ে ভারত সরাসরি মহিলা -দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাহায্য পাঠাচ্ছিল।
সরাসরি সুবিধা হস্তান্তরে উপকৃত হচ্ছে ৯০ কোটি ভারতীয়। তা সে রেশনই হােক বা এলজিপি গ্যাস, স্বাস্থ্য সুবিধা, পেনশন, শিক্ষা থেকে শুরু করে কৃষক। সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.