প্রথম দফায় মেধাতালিকার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তির পর ফাঁকাই রয়ে গেল বহু আসন।
![]() |
প্রতীকী ছবি |
দ্বিতীয় দফায় ভর্তির তালিকা প্রকাশের পর প্রেসিডেন্সি, যাদবপুরের মতাে শহরের দুই পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তির এই করুণ ছবিটা প্রকট। দেখা যাচ্ছে, প্রথম মেধা তালিকার ভিত্তিতে যাদবপুরের আর্টসে ৫৭০টি আসনের মধ্যে সর্বসাকুল্যে মাত্র ১০১টি আসন পূরণ হয়েছে। প্রেসিডেন্সিতে মােট ৬৬৫টি আসনের মধ্যে প্রার্থী মিলেছে মাত্র ২৪৫ টিতে। মানে অর্ধেকও ভরেনি। এই অবস্থা কেন?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “গতবারেও প্রথমদিকে ভীষণভাবে কম ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর্টস, সায়েন্সের অধিকাংশ আসনই পূরণ হয়ে গিয়েছিল। আমরা আশাবাদী, এবারও তেমনটাই হবে। কোভিড পরিস্থিতি ও অনলাইন ব্যবস্থার কিছু জটিলতাতেই শুরুর দিকে কম পড়ুয়া ভর্তি হচ্ছে।”
যাদবপুর আর্টসে মােট আসনের মাত্র ১৮% ভর্তি হয়েছে। প্রথম মেধাতালিকার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া পেয়েছে অর্থনীতি বিভাগ, ৮৬ টির মধ্যে ২৬টিতে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সংস্কৃতের। সেখানে ৭২ টির মধ্যে ৬৮টি আসনেই পড়ুয়া জোটেনি। বাকি বিভাগগুলিতেও ভর্তির অবস্থা তথৈবচ। পাঁচ থেকে ১৬-র মধ্যে ঘােরাফেরা করছে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা।
গত বছর প্রেসিডেন্সিতেও প্রথমদিকে সেভাবে ছাত্রভর্তি হয়নি। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছরের গােড়াতেই কোমর
বেঁধেছিল কর্তৃপক্ষ। ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশের আগেই চালু করা হয়েছিল ‘অনলাইন রিপাের্টিং' ব্যবস্থা।
প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়েই প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম ভর্তির মেধাতালিকা। তার ভিত্তিতে ছাত্রভর্তি সম্পন্ন হওয়ার পর দেখা গেল, এবছরের চিত্রটা তুলনায় অনেকটা ভাল। যদিও, সার্বিক বিচারে খুব একটা সন্তোষজনক নয়। প্রথম দফায় মােটামুটি ৩৭% আসন ভরানাে গিয়েছে।
ভর্তির দিক থেকে সবচেয়ে ভাল অবস্থা জীবনবিজ্ঞানের। সেখানে ১১৬টি আসনের মধ্যে ৫১টি আসনে পড়ুয়া মিলেছে। সবচেয়ে কম পড়ুয়া পেয়েছে দর্শনশাস্ত্র, ২০-র মধ্যে মাত্র তিনটিতে। বাংলা ও ভূগােল যথাক্রমে পেয়েছে পাঁচ ও সাতজন পড়ুয়া। বাকি বিভাগগুলিতে তুলনামূলক বেশি আসন ভরেছে।
ছাত্রভর্তির চিত্র নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনারের সঙ্গে একাধিকবার যােগাযােগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই বাকি থাকা আসনগুলি পূরণের করতে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই মেধা- তালিকার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার থেকে ছাত্রভর্তি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
ভর্তির দিক থেকে সবচেয়ে ভাল অবস্থা জীবনবিজ্ঞানের। সেখানে ১১৬টি আসনের মধ্যে ৫১টি আসনে পড়ুয়া মিলেছে। সবচেয়ে কম পড়ুয়া পেয়েছে দর্শনশাস্ত্র, ২০-র মধ্যে মাত্র তিনটিতে। বাংলা ও ভূগােল যথাক্রমে পেয়েছে পাঁচ ও সাতজন পড়ুয়া। বাকি বিভাগগুলিতে তুলনামূলক বেশি আসন ভরেছে।
ছাত্রভর্তির চিত্র নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনারের সঙ্গে একাধিকবার যােগাযােগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই বাকি থাকা আসনগুলি পূরণের করতে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই মেধা- তালিকার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার থেকে ছাত্রভর্তি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.