কলকাতা : লক্ষীর ভাণ্ডার অস্বস্তিতে ফেলল তৃণমূলকে! বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে আচমকাই ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir) একাধিক সমীক্ষা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে দাবি করে বসেন, মুসলিম মহিলারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। যদি তফশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' (laxmir-bhandar) প্রকল্পে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়, তাহলে সংখ্যালঘু হিসাবে তাঁদেরও সমপরিমাণ টাকা পাওয়া উচিত। হুমায়ুন কবিরের এই প্রস্তাবে কার্যত হতবাক হয়ে যান অন্য বিধায়ক ও মন্ত্রীরা। প্রকল্পের খুঁটিনাটি, পালটা বক্তব্য পেশ করে হুমায়ুনকে বিষয় -টি সম্পর্কে অবগত করেন শশী পাঁজা।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই একুশের প্রতিশ্রুতি মেনে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে হাতে পান সাধারণ শ্রেণির গৃহবধূরা। তফশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য দেওয়া হয় ১০০০ টাকা। এদিন বিধানসভায় হুমায়ুন কবির একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরে দাবি করেন, মুসলিম মহিলাদেরও হাজার টাকা পাওয়া উচিত। যদিও পরে অনেকটাই সুর নরম করেন কবির।
নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “উনি হয়তো নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে একথা বলছেন। তবে আমি বুঝিয়ে বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এমন করেই পরিকল্পনা করা যা শুধুমাত্র সাধারণ শ্রেণি ও তফশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য। 'কোনও ধর্মের ভিত্তিতে কোনও টাকার অঙ্ক একেবারেই ঠিক হয়নি। তা মুসলিম নারীদেরও বোঝাতে হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.