রবিবার বিকেলে জঙ্গিপুরের সুতির আহিরণে বিশাল এক সভায় এই যোগদান হয়েছে। দলে নবাগতদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান ও বিধায়ক জাকির হোসেন।
এদিন বিকেলে আহিরণের সুতি এলাকার হারুয়া, নুরপুর, আহিরণ, উমরাপুর অঞ্চলের কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মী-সহ অঞ্চল নেতারা হাজির হন। ক'দিন আগেই নুরপুর অঞ্চলের কংগ্রেস, সিপিএমের ৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য জাকিরের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরই রবিবারে বিশাল যোগদান সভায় জাকির বলেন, ‘জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূলের সংগঠন খুবই মজবুত। দলে কর্মীসমর্থক-দের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যা দেখছি, জঙ্গিপুর মহকুমায় তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ। আসলে বাংলা জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে যে উন্নয়ন চলছে, তার ঢেউ মুর্শিদাবাদেও পড়েছে। আর ম মানুষও সেই উন্নয়নে শামিল হতেই দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।'
তৃণমূল সাংসদ তথা জঙ্গিপুরের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, 'সামনে লোকসভার ভোট মুর্শিদাবাদে ৩ আসনের মধ্যে ২টি আমাদের। বহরমপুর কংগ্রেসের। কিন্তু এবার আমাদের লক্ষ্য জেলার ৩ টি আসনেই জয় পাওয়া। যত বেশি আসন তৃণমূলের থাকবে, তত বেশি হাত শক্ত হবে মমতাদির। বিজেপি সবসময়ই চায় বিভেদের রাজনীতি করে ভোট পেতে। বিজেপির নেতারা বাংলার ক্ষতি চান। তাঁদের সঙ্গে তালে তালে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস, সিপিএম। কিন্তু কোনওভাবে তৃণমূলকে আটকাতে পারবে না।'
তৃণমূলে যোগদানকারীদের কথা, ‘মমতাদি ছাড়া আমাদের কথা কেউ ভাবে না। আমরাও মমতাদির সঙ্গেই রয়েছি।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.