রাজ্য বিজেপির দাবি অনুযায়ী নীলমাধব চৌধুরীর সঙ্গে আরও ৩০ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছে বিজেপিতে।
সোমবার এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির বীরভূম জেলা কার্যালয়ে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে পদ্ম শিবিরে এদিন নাম লেখালেন নীলমাধব চৌধুরী। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন লোকসভা ভোটের আগে এই যোগদান পর্ব এলাকায় বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি আরও মজবুত করবে।
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগেই কেষ্টবিহীন বীরভূমে শাসক দলে ভাঙন ধরাল বিজেপি (BJP)। যুব তৃণমূলের খয়রাশোল ব্লক সভাপতি নীলমাধব চৌধুরী ভোটের মুখে এবার যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির দাবি, নীলমাধব চৌধুরীর সঙ্গে আরও ৩০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছে তাদের দলে।
বিজেপিতে যোগদানের পর যুব নেতা নীলমাধব চৌধুরী জানান, ‘আমি মোদীজির অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়েই যোগদান করছি বিজেপিতে।’ দলবদলের পরই তৃণমূল শিবিরকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের যে নীতি, সেখানে দম বন্ধ হয়ে আসছে। ওদের কার্যকলাপ সবাই দেখতে পাচ্ছে। চারিদিকে লুঠ, সন্ত্রাস। আমরা এই সন্ত্রাস কোনওভাবেই সমর্থন করি না।’ এদিন নীলমাধব চৌধুরীর সঙ্গে ঘাসফুল ছেড়ে আরও দুইজন তৃণমূল নেতা-কর্মী মদন মণ্ডল ও সাধন দাস বৈরাগ্যও তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন পদ্মশিবিরে। নীলমাধব চৌধুরীর দাবি, ‘আজ তিন জন যোগদান করলাম, আগামী দিনে তিন হাজার জন যোগদান করবে।’
এদিনের যোগদান পর্বের পর বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী। তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূল কংগ্রস খয়রাশোলে গোল্লা পাবে। বিজেপির ব্যাপক জয় হবে।’
যদিও এই দলবদলকে তৃণমূল শিবির বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। ঘাসফুলের দাবি, কিছু মানুষ থাকে, যাদের কোনও রাজনৈতিক স্থিরতা থাকে না। বার বার দল পরিবর্তন করে। ফলে বিষয়টির বিশেষ কোনও প্রভাব নির্বাচনের ময়দানে পড়বে না বলেই মনে করছে তৃণমূল শিবির।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.