ঘটনা হল,এতদিন পিএইচডিতে ভর্তির জন্য পৃথক প্রবেশিকা পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। জানা গিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকরের পর ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট পদ্ধতির পুনর্মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন বছরে দু'বার করে সর্বভারতীয় পরীক্ষা হত। সেখানে উত্তীর্ণ হলে পরীক্ষার্থীরা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ অথবা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য বিবেচিত হতেন। সেই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার ফলাফলকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে পরীক্ষার্থীরা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ ছাড়াই পিএইচডিতে ভর্তির জন্য এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আর তৃতীয় ক্যাটাগরিতে থাকলে শুধু পিএইচডিতে ভর্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
পরীক্ষায় সর্বোচ্চ গ্রেড যাঁরা পাবেন, তাঁরা প্রথম ক্যাটাগরি, আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরির জন্য নেট পরীক্ষার নম্বর থেকে ৭০ শতাংশ ও ইন্টারভিউ থেকে ৩০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে।তার ভিত্তিতে ভর্তি হওয়া যাবে পিএইচডিতে। ইউজিসি গোটা প্রক্রিয়ায় যে বদল এনেছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষা জগৎ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.