অনুপ্রবেশকে কাজে লাগিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার চক্রান্ত জঙ্গিদের! দাবি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

অনুপ্রবেশকে কাজে লাগিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার চক্রান্ত জঙ্গিদের! দাবি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

Militants plot to build a greater Bangladesh using infiltration

ঝাড়খণ্ড : ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের কয়েকটি জেলায় ব্যাপক অনুপ্রবেশকে কাজে লাগিয়ে এবার বৃহত্তর বাংলাদেশ(Greater Bangladesh) -এর ছক কষছে জেহাদি জঙ্গিরা! 


সামাজিক মাধ্যমে 'বৃহত্তর বাংলাদেশ '-এর সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছে জেহাদিরা। বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির ঝাড়খণ্ড সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি (Babulal Marandi)। 


গোয়েন্দাদের দাবি, তালিবান ধাঁচের নয়া রাষ্ট্র গঠনের কথা বাংলাদেশের জামাতে ইসলাম ও হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা প্রকাশ্যে প্রচার করলেও এর পিছনে রয়েছে হুজি ও জেএমবির মতো নেটওয়ার্ক।


জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ঢাকার কয়েকটি অঞ্চলে বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনের দাবির সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। ঝাড়খণ্ড বিজেপি সভাপতি বাবুলাল মারান্ডির দাবি, ‘আওয়ামি‌ লিগ সরকারের পতনের পর দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে মৌলবাদীরা‌ কৌশলে বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনের‌ দাবির সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছেন।'


প্রস্তাবিত ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ'-এ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পুরো‌ এলাকা ছাড়াও ঝাড়খণ্ডের একটা‌ বড়ো অংশ, বিহারের কিসানগঞ্জ, কাটিহার, নেপালের ঝাপা,‌ মায়ানমার এর রাখাইন ও আরাকান‌ অঞ্চল, আন্দামানের কিছু অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম এবং মণিপুরের কিছু এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করার চক্রান্ত চলছে বলেই দাবি বাবুলালের। 


জানা যাচ্ছে, প্রস্তাবিত নয়া রাষ্ট্রের সরকারি ভাষা আরবি‌ ও উর্দু হবে বলেও প্রচার চলছে।‌‌ পেশোয়ার, করাচি, লাহোরের ভারত বিরোধী ব্লগারের পেজ থেকে প্রতিনিয়ত এর সমর্থনে প্রচার করা‌ হচ্ছে। 


গোয়েন্দাদের দাবি, এর পিছনে রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। গোয়েন্দা সূত্র তুলে‌ ধরে বাবুলাল মারান্ডি বলেন,‌ “বাংলাদেশে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে গাজিপুরে কাশিমপুর সেন্ট্রাল জেল‌ ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে ২০০ কয়েদি। তাদের মধ্যে রয়েছে‌ জামাতে ইসলাম বন্দিরাও। 


বুধবার কুষ্টিয়ায় জেল আধিকারিকের ওপর‌ হামলা চালিয়ে ৩০ বন্দি বেরিয়ে‌ গিয়েছে। শেহরপুরের জেলা‌ কারাগার থেকে ৫০০ কয়েদি‌ পালিয়েছে। এর মধ্যে‌ অধিকাংশই‌ ছিল হুজি ও জেএমবি (JMB)-র জঙ্গি যারা বাইরে বেরিয়ে এসে এই কাজে যোগ দিয়েছে।' তাঁর অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি জনসংখ্যা যেভাবে হঠাৎ করে বেড়েছে, তাতে মনে হচ্ছে কংগ্রেস এবং জেএমএমও (JMMO) মৌলবাদীদের উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করছে। 


আদিবাসী সম্প্রদায় এবং‌ ঝাড়খণ্ডের সাড়ে তিন কোটি বাসিন্দার স্বার্থরক্ষায় তাই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।” এর আগে গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সংসদে এক‌ বিবৃতিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রবেশের কথা তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের অংশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির আবেদন জানিয়েছেন। সংসদে বিজেপি সাংসদ তাঁর ভাষণে বলেছেন, 'বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বেশ কয়েকটি জেলা, যেমন- মুর্শিদাবাদ, মালদা, আরারিয়া, কিসানগঞ্জ, কাটিহার, সাহেবগঞ্জ এবং ঝাড়খণ্ডের পাকুরে বাংলাদেশি‌ -দের ব্যাপক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। জনসংখ্যার দ্রুত পরিবর্তনের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।' তিনি দাবি করেন, ‘এই এলাকাগুলিতে অবিলম্বে এনআরসি কার্যকর করা উচিত। এদিকে, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশে রাজ্য সরকারকে বিশেষ সেল তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত সংলগ্ন ছয় জেলায় বিপুল সংখ্যক অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে।


বিচারপতি সুজিত নারায়ণ প্রসাদ এবং অরুণ কুমারের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ঝাড়খণ্ড সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, ১৯৫১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে‌ আদিবাসীদের জনসংখ্যার হার ৪৪.৬৭ শতাংশ থেকে ২৮.১১ শতাংশ হল কী করে? ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতি বাবুলাল মারান্ডিও সাঁওতাল উপজাতি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার ক্রমাগত হ্রাসের কারণ খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কাছে চিঠি লিখেছেন। 


ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সাফ বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের যদি সাঁওতাল পরগনা থেকে তাড়ানো‌ না হয় এবং অবিলম্বে অনুপ্রবেশ বন্ধ না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতির উত্থানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ণিয়া, কাটিহার, কিসানগঞ্জ ও আরারিয়া বরাবর সাঁওতাল পরগনার ছয়টি জেলায় বাংলাদেশি‌ অনুপ্রবেশকারীরা যেভাবে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে তা উদ্বেগজনক।'

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad