বিহারে মাদ্রাসার পাঠক্রমে পাকিস্তানি বই! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল NCPCR - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

বিহারে মাদ্রাসার পাঠক্রমে পাকিস্তানি বই! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল NCPCR

Pakistani books in the Madrasa curriculum in Bihar, Priyank Kanoongo

পাটনা : বিহারের মাদ্রাসাগুলির পাঠক্রমে পড়ানো হচ্ছে পাকিস্তানি বই! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন National Commossion for Protection of Child Right NCPCR পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলিতে হিন্দু পড়ুয়ার সংখ্যা কত, তা নিয়েও ধন্ধে কমিশন। বিহার মাদ্রাসা বোর্ড এ বিষয়ে কোনও তথ্য দিচ্ছে না বলে অভিযোগ কমিশনের।


জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো (Priyank Kanoongo)-র অভিযোগ, ‘বিহারে রাজ্যের সরকারি পরিচালিত অর্থানুকূ ল্যে মাদ্রাসাগুলিতে নির্ধারিত পাঠক্রমের অনেক বই পাকিস্তানে ছাপা হয়। তাদের বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা চলছে।' তাঁর দাবি, মাদ্রাসায় ‘তালিমুল ইসলাম’ পড়ানো হচ্ছে। 


প্রিয়াঙ্ক জানান, ‘এই বইয়ে অমুসলিম ব্যক্তিদের কাফের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মাদ্রাসায় হিন্দু ছেলে -মেয়েদেরও ভর্তি করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তাদের সংখ্যার অনুপাত সম্পর্কে বিহার সরকার আনুষ্ঠানিক তথ্য দিচ্ছে না।' তাঁর আরও অভিযোগ, মাদ্রাসাগুলি থেকে হিন্দু শিশুদের স্কুলে স্থানান্তরের প্রশ্নেও সরকার সাহায্য করছে না। এক্ষেত্রে বিহার মাদ্রাসা বোর্ডের যুক্তি, মাদ্রাসার পাঠক্রম ইউনিসেফ ইন্ডিয়া তৈরি করেছে।' প্রিয়াঙ্কর অভিযোগ, ‘এটি আসলে ইউনিসেফ এবং মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক তুষ্টিকরণের চেষ্টা।' তিনি বলেন, ‘শিশু সুরক্ষার নামে সরকারের কাছ থেকে দান ও প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে মৌলবাদী পাঠক্রম তৈরি করা ইউনিসেফের কাজ নয়। এভাবে তহবিলের অপব্যবহার ভারতের সংবিধান এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের শিশু সুরক্ষা কনভেশনের সরাসরি লঙ্ঘন। রাষ্ট্রপুঞ্জে এ-নিয়ে নজরদারি ও তদন্ত করা উচিত।' 


জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সাফ দাবি, ‘মাদ্রাসা কোনও ভাবেই শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জায়গা নয়। শিশুদের স্কুলে পড়া উচিত এবং হিন্দু শিশুরা যেন মাদ্রাসায় না পড়ে। মাদ্রাসা বোর্ড ভেঙে দেওয়া উচিত।'


অন্যদিকে, বিহার মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান বি কার্কিতের ধনাজি বলেন, ‘জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছ থেকে এমন কোনও অভিযোগ পাইনি। কমিশন আমাদের কোনও লিখিত বা মৌখিক তথ্য জানায়নি। আমাদের কিছু না জানালে এ-বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এ-ধরনের কোনও অভিযোগ থাকলে আমাদের জানানো উচিত।' 


বিজেপির মুখপাত্র অরবিন্দ বলেন, “বিহার মাদ্রাসা বোর্ডের সিলেবাস সম্পূর্ণ বিরোধী দর্শনে পরিপূর্ণ। গোটা বিষয়টি ফাঁস করে দিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।' তাঁর দাবি, “বিহারে একটি সাধারণ নাগরিক বিধি আনা জরুরি হয়ে পড়েছে, অন্যথায় রাজ্যের প্রতিটি মাদ্রাসায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হবে। এসব মাদ্রাসায় সরকার অর্থায়ন করে। অথচ সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মাদ্রাসাগুলি এ-ধরনের কাজ করে!'

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad