প্রথমে নিয়ােগ প্যানেলের উপরে কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ায় তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন।
তার পরে বেতনের বিল না-পাঠানাের নির্দেশিকা আসায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার যারপরনাই আতঙ্কিত। পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে জানানাে হলেও সদ্য-নিযুক্তদের উৎকণ্ঠা কাটছে না।
উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের আগেই অন্তত ১৪ হাজার যুবক-যুবতী প্রাথমিক শিক্ষকের পদে যােগ দিয়েছেন।তাঁদের সকলেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেন। একটি জেলায় এই ধরনের শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করার সরকারি নির্দেশ-বিজ্ঞপ্তি ঘিরে ঘাের বিতর্ক বেঁধেছে।
দেখা যাচ্ছে, সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই নির্দেশ উত্তর দিনাজপুর জেলার স্কুল ইনস্পেক্টরদের কাছে পাঠিয়েছে শিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছে, নবনিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্যালারি স্লিপ বা বেতনের বিল পাঠাতে হবে না।
২০১৪ সালে টেট পাশ করা সত্ত্বেও প্রায় সাত বছর সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নিয়ােগ আটকে ছিল। বিধানসভা ভােটের মুখে প্রথম প্যানেল ঘােষণা করে তাঁদের মধ্যে হাজার চোদ্দো প্রার্থীকে নিয়ােগও করা হয়।
Read more: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৭২ জন চাকুরি প্রার্থীর ৪ জনের জাল শংসাপত্রের জেরে নিয়োগ বাতিল।
মেধা তালিকায় গরমিল-সহ নিয়ােগ প্রক্রিয়ায় নানান অনিয়মের অভিযােগ তুলে কিছু প্রার্থী মামলা করায় গত ফেব্রুয়ারি সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অথচ তাদের স্থগিতাদেশের আগেই মেধা-তালিকায় স্থান পাওয়া প্রার্থীদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন স্কুলে যােগ দিয়েছেন।
হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়ায় তাদের চাকরি নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ বার এই বেতনের বিল না-পাঠানাের নির্দেশ-বিজ্ঞপ্তি তাঁদের উৎকণ্ঠা-আতঙ্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এই বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ফোনে যােগাযােগ করা হলে তিনি বলেন, “এই বিজ্ঞপ্তি বাতিল এবং এই বিজ্ঞপ্তিকে উপেক্ষা করতে হবে।”
পর্ষদ নতুন কোনও বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে কি না, তা জানতে আবার যােগাযােগ করা হয়েছিল। কিন্তু পর্ষদের চেয়ারম্যান পরে আর ফোন ধরেননি। যে বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক, সেটি দেন উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপককুমার ভক্ত।
মেধা তালিকায় গরমিল-সহ নিয়ােগ প্রক্রিয়ায় নানান অনিয়মের অভিযােগ তুলে কিছু প্রার্থী মামলা করায় গত ফেব্রুয়ারি সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অথচ তাদের স্থগিতাদেশের আগেই মেধা-তালিকায় স্থান পাওয়া প্রার্থীদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন স্কুলে যােগ দিয়েছেন।
হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়ায় তাদের চাকরি নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ বার এই বেতনের বিল না-পাঠানাের নির্দেশ-বিজ্ঞপ্তি তাঁদের উৎকণ্ঠা-আতঙ্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এই বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ফোনে যােগাযােগ করা হলে তিনি বলেন, “এই বিজ্ঞপ্তি বাতিল এবং এই বিজ্ঞপ্তিকে উপেক্ষা করতে হবে।”
পর্ষদ নতুন কোনও বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে কি না, তা জানতে আবার যােগাযােগ করা হয়েছিল। কিন্তু পর্ষদের চেয়ারম্যান পরে আর ফোন ধরেননি। যে বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক, সেটি দেন উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপককুমার ভক্ত।
২৩ ফেব্রুয়ারি এই জেলার ১৭টি সার্কেলের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে পাঠানাে ওই নির্দেশ সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরেই বিতর্কের মুখে পড়েন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় দফতরের কর্তারা।
এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দীপকবাবু ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন। “আমার ওই নির্দেশের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট নির্দেশের সম্পর্ক নেই,” বলেন দীপকবাবু। তাঁর হিসেব অনুযায়ী ওই জেলায় ২২৫ জন প্রার্থীকে নিয়ােগপত্র দেওয়া হয়। “তাঁদের প্রােফাইল তৈরি হয়নি এবং সরকারি ভাবে এখনও তাঁদের বেতনের টাকাও বরাদ্দ হয়নি।
মার্চে নবনিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনের বিল পাঠানাে হলে জেলার সব প্রাথমিক শিক্ষকের বিলের সঙ্গে মিশবে। তাই শিক্ষকদের একাংশের পুরো বেতন না হওয়ার আশঙ্কায় ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি," বলেন দীপকবাবু।
এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দীপকবাবু ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন। “আমার ওই নির্দেশের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট নির্দেশের সম্পর্ক নেই,” বলেন দীপকবাবু। তাঁর হিসেব অনুযায়ী ওই জেলায় ২২৫ জন প্রার্থীকে নিয়ােগপত্র দেওয়া হয়। “তাঁদের প্রােফাইল তৈরি হয়নি এবং সরকারি ভাবে এখনও তাঁদের বেতনের টাকাও বরাদ্দ হয়নি।
মার্চে নবনিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনের বিল পাঠানাে হলে জেলার সব প্রাথমিক শিক্ষকের বিলের সঙ্গে মিশবে। তাই শিক্ষকদের একাংশের পুরো বেতন না হওয়ার আশঙ্কায় ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি," বলেন দীপকবাবু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.