গােঘাট এলাকায় নিজের প্রভাব খাটাতে পুজো বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা।
অভিযােগ, প্রতিবাদ করায় পুজো উদ্যোক্তাদের দু’জনকে বেধড়ক মারধর করে ওই তৃণমূল নেতার লােকজন। শুধু তাই নয়, হুমকি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় পুজোও।
গােঘাটের আশুথখােলা গ্রামের এই ঘটনায় সুশান্ত ঘােষ ওরফে লালু নামে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষ- জন ক্ষোভে ফুসছেন। তৃণমূল নেতার এই কাজে ক্ষুব্ধ ব্লক সভাপতিও। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আহত দুই পুজো উদ্যোক্তাকে কামারপুকুর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত সুশান্ত প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের উৎসাহ দিয়ে পুজো খরচের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন, সেখানে। তাঁরই দলের নেতা হুমকি দিয়ে পুজো বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাকে নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read more: হরিনাম সংকীর্তন চলাকালীন জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তৃণমূলি তাণ্ডবে বন্ধ হরিনাম সংকীর্তন।
ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। গত পাঁচ বছর ধরে চলে আসা ওই গ্রামের দুর্গাপুজোর মাঠটি এখন দেখলে বােঝাই যাবে না পুজোর আয়ােজন করা হচ্ছিল সেখানে।
গ্রামের মানুষ সুশান্তর ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। গ্রামবাসীদের অভিযােগ, দীর্ঘদিন ধরে নিজের ক্ষমতা জাহির করার জন্য এলাকায় দলবল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান সুশান্ত। গ্রামের পুজো বন্ধ করতেও বেশ কয়েক দফায় হুমকি দেওয়া হয় পুজো উদ্যোক্তাদের। কিন্তু কেন? ওই গ্রামেই আর একটি পুজো করেন সুশান্ত। গ্রামবাসীদের দাবি, সেই পুজোর মান যাতে না কমে যায় মূলত তার জন্যই এই পুজো।বন্ধের চেষ্টা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসীর কথায়, কয়েকদিন
ধরে দফায় দফায় পুজো বন্ধের হুমকি দিতেন সুশান্ত। তা না শােনায় মারধর করা হয়। এমনকি মণ্ডপ মিস্ত্রিদেরও কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়।
গােঘাট থানায় অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে কিন্তু কেউ আটক হয়নি। আক্রান্ত দুই পুজো উদ্যোক্তা ধর্মদাস নায়েক ও অরূপ ঘােষ বলেন, ‘আমাদের পুজো করতেই নিষেধ করেন সুশান্ত। হুমকিও দিয়েছিলেন। আমরা তাঁর কথা না শুনে বলেছিলাম পুজো করব। সে জন্য তিনি দলবল নিয়ে এসে আমাদের মারধর করেন। মণ্ডপ ভেঙে ফেলতে বলেন। এমনকি যাঁরা মণ্ডপের কাজ করছিলেন তাঁদেরও তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
সুবর্ণা নায়েক, উপদিত্ত ঘােষ, রবি ঘােষ-সব গ্রামের
একাধিকজন জানান, পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আর গ্রামে পুজোই করা যাবে সুশান্তের ভয়ে সিঁটিয়ে সবাই। এই ভাবে গ্রামে থাকা যায় না।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষকে এলাকাতে পাওয়া যায়নি। তাঁকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। গােঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযােগ হয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। গত পাঁচ বছর ধরে চলে আসা ওই গ্রামের দুর্গাপুজোর মাঠটি এখন দেখলে বােঝাই যাবে না পুজোর আয়ােজন করা হচ্ছিল সেখানে।
গ্রামের মানুষ সুশান্তর ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। গ্রামবাসীদের অভিযােগ, দীর্ঘদিন ধরে নিজের ক্ষমতা জাহির করার জন্য এলাকায় দলবল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান সুশান্ত। গ্রামের পুজো বন্ধ করতেও বেশ কয়েক দফায় হুমকি দেওয়া হয় পুজো উদ্যোক্তাদের। কিন্তু কেন? ওই গ্রামেই আর একটি পুজো করেন সুশান্ত। গ্রামবাসীদের দাবি, সেই পুজোর মান যাতে না কমে যায় মূলত তার জন্যই এই পুজো।বন্ধের চেষ্টা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসীর কথায়, কয়েকদিন
ধরে দফায় দফায় পুজো বন্ধের হুমকি দিতেন সুশান্ত। তা না শােনায় মারধর করা হয়। এমনকি মণ্ডপ মিস্ত্রিদেরও কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়।
গােঘাট থানায় অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে কিন্তু কেউ আটক হয়নি। আক্রান্ত দুই পুজো উদ্যোক্তা ধর্মদাস নায়েক ও অরূপ ঘােষ বলেন, ‘আমাদের পুজো করতেই নিষেধ করেন সুশান্ত। হুমকিও দিয়েছিলেন। আমরা তাঁর কথা না শুনে বলেছিলাম পুজো করব। সে জন্য তিনি দলবল নিয়ে এসে আমাদের মারধর করেন। মণ্ডপ ভেঙে ফেলতে বলেন। এমনকি যাঁরা মণ্ডপের কাজ করছিলেন তাঁদেরও তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
সুবর্ণা নায়েক, উপদিত্ত ঘােষ, রবি ঘােষ-সব গ্রামের
একাধিকজন জানান, পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আর গ্রামে পুজোই করা যাবে সুশান্তের ভয়ে সিঁটিয়ে সবাই। এই ভাবে গ্রামে থাকা যায় না।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষকে এলাকাতে পাওয়া যায়নি। তাঁকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। গােঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযােগ হয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.